অনেক বছর আগের কথা। এই ঠাকুরগাঁও জেলা শহরে তখন জনপদ গড়ে উঠেনি। বহতা টাংগন নদীর দু’পাশ জুড়ে ছিল বিশাল শালবন। সবুজ অরণ্য ঘেরা এই এলাকার নাম ছিল শালবাড়ি পরগণা।
উনিশশত খৃস্টাব্দের প্রথম দিকে এর জনপদটি ছিল মালদুয়ার পরগণার অন্তর্গত। পরে জমিদার বুদ্ধিনাথের ছেলে টংকনাথ বৃটিশি সরকারের আস্থা লাভ করতে ‘মালদুয়ার স্টেট’গঠন করেন। কথিত আছে টাকার নোট পুড়িয়ে জনৈক বৃটিশ রাজকর্মচারীকে চা বানিয়ে খাইয়ে টংকনাথ ‘চৌধুরী’উপাধি লাভ করেন। এরপর দিনাজপুরের মহারাজা গিরিজানাথ রায়ের বশ্যতা স্বীকার করে ‘রাজা’উপাধি পান। রাজা টংকনাথ চৌধুরীর স্ত্রীর নাম জয়রমা শঙ্করী দেবী। ‘রানীশংকরী দেবী’র নামানুসারে মালদুয়ার স্টেট হয়ে যায় ‘রাণীশংকৈল’।
মালদুয়ারের আগে এ অঞ্চল ছিল ভাতুরিয়া পরগণার অন্তর্গত। ১৮৯৩ সালে এখানে থানা প্রতিষ্ঠিত হয়। এই থানা ১৯৮৩ সালে উপজেলায় রূপ লাভ করে।
বর্তমানে রাণীশংকৈল উপজেলায় ১টি পৌরসভা, ৮টি ইউনিয়ন এবং ১২৪টি মৌজা রয়েছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস