ভাষাঃ
ভাষা ভিক্তিক আঞ্চলিকতার ক্ষেত্রে আর্য ও দ্রাবিড় উভয় ধরণের প্রভাব এ অঞ্চলে পরিলক্ষিত হয়। বাংলা ভাষার প্রাচীনতম নিদর্শন চর্যাপদ এর ভাষার সাথে এ অঞ্চলের ভাষার সাথে যথেষ্ট মিল আছে। এমনকি বড়ু চন্ডীদাশের শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন বিশ্লেষনে দেখা যায় গ্রন্থে ব্যবহৃত অনেক শব্দ এ অঞ্চলের মূখের ভাষা। যেমন- বুঢ়া, ঘষি, বেশোয়ার প্রভৃতি। এ অঞ্চলের জনগন মিশ্রিত আঞ্চলিক কথ্য ভাষায় কথা বললেও এখানকার আদিবাসীসমপ্রদায় পারিবারিক পর্যায়ে সাওতাল ভাষায় কথা বলে।
শিক্ষা ও সংস্কৃতিঃ
প্রাচীনকালে সাধারণের মধ্যে শিক্ষার তেমন কোন প্রচলন ছিলনা। তবে গ্রাম্য বর্মনদের মধ্যে বেদ উপনিষদ কেন্দ্রিক শিক্ষার প্রচলন ছিল। ব্রিটিশ অব্যবহিত পূর্বকালে ঠাকুরগাঁও অঞ্চলে গৃহ কেন্দ্রিক টোল মক্তবের মাধ্যমে শিক্ষার প্রচলন ছিল। মূলত ব্রিটিশ শাসন আমলে এ এলাকার শিক্ষার প্রসার শূরু হয়।
বর্তমানে রাণীশংকৈল উপজেলায় শিক্ষার হার
পুরুষ=৫০.২%
মহিলা=৪২.৯%
মোট=৪৬.৬%।
সংস্কৃতিঃ
রাণীশংকৈল উপজেলার নেকমরদের গোরকই নামক স্থানে আবিস্কৃত হয়েছে চর্যাপদের অন্যতম পদকর্তা নাথ সমপ্রদায়ভুক্ত বৌদ্ধসহ জিয়া সমপ্রদায়ের গুরু ধর্মগরু গোরক্ষ নাথের মন্দির, তার আমলের পাথরের তৈরী কুয়া ও একটি শিল্পলিপি। এতে প্রমাণ হয় এ অঞ্চলের সংস্কৃতি অতি প্রাচীন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস