রাণীশংকৈল, ঠাকুরগাঁও।
রাণীশংকৈল বাসস্ট্যান্ড হতে ভ্যানযোগে/মোটরসাইকেলযোগে যাওয়া যায়। বাচোর ইউনিয়ন পরিষদের পুরাতন ভবন এর পূর্বপাশে।
0
রাণীশংকৈল উপজেলার বাচোর ইউনিয়নে কুলিক নদীর তীরে মালদুয়ার জমিদার রাজা টংক নাথের রাজবাড়ি। জমির পরিমাণ ১১.২০একর যা ১৯১৫ খ্রি: সালে প্রতিষ্ঠা করেন । টংকনাথের পিতার নাম বুদ্ধিনাথ চৌধূরী, বুদ্ধিনাথ চৌধূরী ছিলেন মৈথিলি ব্রাক্ষণ এবং কাভতিহারে ঘোষ বাগোয়ালা বংশীয় জমিদারের শ্যামরাই মন্দিরের সেবায়েত। নিঃসন্তান বৃদ্ধগোয়ালা জমিদার কাশিবাসে যাওয়ার সময় সমস্ত জমিদারি সেবায়েতের তত্ত্বাবধানে রেখে যান এবং তাম্রপাতে দলিল করে যান যে, তিনি কাশি থেকে ফিরে না এলে শ্যামরাই মন্দিরের সেবায়েত এই জমিদারির মালিক হবেন। পরে বৃদ্ধ জমিদার ফিরে না আসার কারণে বুদ্ধিনাথ চৌধুরী জমিদারী পেয়ে যান। তবে অনেকে মনে করেন এই ঘটনা বুদ্ধিনাথ চৌধুরীর দু-এক পুরুষ পূর্বেরও হতে পারে। রাজবাড়ি নির্মাণের কাজ বুদ্ধিনাথ চৌধূরী শুরু করেলও সমাপ্ত করেন রাজা টংকনাথ। বৃটিশ সরকারের কাছে টংকনাথ রাজা উপাধী পান। উনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগে রাজ বাড়িটি নির্মিত হয়। রাজবাড়িটি ঐতিহাসিক নিদর্শন এবং পুরাকীর্তির প্রতীক বহন করে। এবং রাজপ্রাসাদটির মনোমুগ্ধকর নিমার্ণশৈলী পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস